অমলেন্দু বিশ্বাস


 শারদীয়া  

        

গভীর অন্ধকারে থেকে থেকে
দ্বিতীয়ার চাঁদকেও পূর্ণিমা বলে মনে হয়

হঠাৎ চেয়ে দেখি  -
আশ্বিনের মাঠে মাঠে নবান্নের 
যুবতী ধান আমার প্রেমিকা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
এমনও দিনে পুরনো কথা গুলো
বাক্ প্রতিমা হয়ে ভেসে ওঠে সদর দরজায়। 

কাশবন দুলতে থাকে শারদীয়ার সুরে...

এমনও দিনে, বেনামি শহর বন্দর জুড়ে জাহাজ গুলো নোঙর ফেললে-
হরপ্পা মহেঞ্জদারোর মত
এ মৃত উপত্যকাও  হয়ে ওঠে বানিজ্য নগরী ।






  দিন যাপন    

ওই  রাত গুলো বালিশের  আদর খোঁজে না ;
এই চাঁদ গুলো রূপোলী আদর
বোঝে না,
এখানে ভালোবাসাবাসি মুখ গুলো
হারায় শুধু শারীরিক মুদ্রায়।

এখানে কলোনির বুকে কোনও
আলো নেই ;এখানে কোনও  দিগন্তের  খোলা হাওয়া নেই।
এখানে রাত্রির বুকে শুধু রাত নামে 
এখানে রাত্রির বুকে শুধু ঘাম জমে।

এখানে মুমূর্ষু  রুগীর মতো বেঁচে থেকে দেখি -
বাঁচার স্বাদ কিভাবে বদলে যায়!
একটা তারা খসার মত জীবন কেমন ফুঁরিয়ে যায়!

আমাদের কলোনির বুকে কোনও আলো নেই ;
আমাদের কাজলের স্বপ্ন নিয়ে বাঁচা নেই,
এখানে মোম জোছনায়  হাসা নেই।

এখানে শুধু  একের পর এক  গাঢ়  মাতাল অন্ধকার অক্টোপাস হয়ে  নগ্ন শরীর ছোঁয়।






0 comments:

Post a Comment