বিশ্বজিৎ দাস




এক্স কোনো বর্ণমালা নয়


এক্স বর্ণটির চেহারা ও সাদৃশ্যগত দোষে
গত কুড়ি বছরে বহু কুঁড়ি নষ্ট হয়ে গেছে!
একদিন দেখলাম গারদের সামনে মা কাঁদছে
ছেলে তাঁর ভিতরে...
এক্স প্রেমিককে সে ভরে দিয়েছে জীবনের মধ্যে
সেও বুঝতে বুঝতে হাতদুটো মোচড় দ্যায় আর ভাবে
মাটির কাছে কত ঋণ আছে...


তারপর আবার একদিন
কোনো ঈশ্বরের নার্সিংহোমে
বিশ্বনিখিল প্রাপ্ত উপেনের মেয়ে ভর্তি!
হ্যাঁ, ওষুধ তখন এক্স-ফ্যাক্টর(টাকাই আসল)
ঘনঘন শ্বাস ওঠানামা, নেভানো আলোয় খসখসে শব্দ
"পারবি? তাহলে তোর মেয়ে স্বগ্গে যাবে..."
কিরকম লেবেলের বাঞ্চোৎ! মন্ত্রীর মন্তব্যটি হল
থ্রিএক্সের সঙ্গে অ্যালকোহল আর মাংস...
ওই যে, কাঁচা মাংস! ওর এক্সপোর্ট ইমপোর্ট সবই
এক্স নামে চলে| বুঝলে না?


ছোটবেলায় একটা কাশির সিরাপে লেখা ছিল
এক্স-পার এ
বহুদিন মানে খুঁজেছি, পাইনি...
বইয়ের কিছু শব্দ যেমন, আই মানে আমি
এ মানে একটি সাদামাটা জীবন...
এক্স ওয়াই মিললে জীবনের বর্ণমালায় ওঠে ঢেউ
সম্ভবত এমন একটি নির্দিষ্ট অন্ধকারের আয়োজন
এই এক্সেরই এক্সপেরিমেন্টাল হিসেবে নিন! ধন্যবাদ








কলমিশাক



জলের সঙ্গে এত ভালো সম্পর্ক রেখেও উদ্বাস্তু
সবুজ উদাসীনতায় হাত বাড়িয়ে লুব্ধক
কখনও বেহিসেবি চাইনি; শুধু ভেসে থেকে
তোমার আমার প্রতিশ্রুতিগুলোকে আদুরে হাসি


শরীরে অপরাধ রেখেও দাঁড়িয়ে থাকে রোদ
শুষে নেয় অটুট বন্ধন...কেননা আমি জানতাম
তোমার ভিতরে শাস নেই, কেবল ফাঁপা আশ্রয় আর
অসুস্থতার গোপন আলোকচিত্রে ধূর্ত অবলম্বন...








0 comments:

Post a Comment